আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ ছয় সদস্যর বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোসহ বিভিন্ন অপরাধে ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, মার্কিন নাগরিকদের হত্যা, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ষড়যন্ত্র এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারসহ সাতটি অভিযোগে হামাসের ছয় সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, হামাসের কয়েক দশকের কথিত হামলার পাশাপাশি গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে চালানো নজিরবিহীন হামলার ঘটনাও রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবরের হামলার মূল হোতাদের জবাবদিহির জন্য মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রথম পদক্ষেপ এটি। যদিও এ অভিযোগে অভিযুক্ত তিন হামাস সদস্য এরই মধ্যে মারা গেছেন। আর, হামাস নেতা সিনওয়ার গাজায় কোনো সুড়ঙ্গে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, আসামিরা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য দশকব্যাপী প্রচারাভিযানের অর্থায়ন ও পরিচালনার জন্য দায়ী। এই গোষ্ঠীটি ইসরাইলকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বেসামরিক লোকদের হত্যা করার জন্য হামাসের প্রচেষ্টাকে নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি গত ৭ অক্টোবরের ইসরাইলে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, হলোকাস্টের পর ইহুদিদের ওপর চালানো মারাত্মক এ হামলায় বেশকটি পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করেছে হামাস। তারা বয়স্কদের, এমনকি ছোট শিশুদেরও হত্যা করেছে। তারা নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতাকে অস্ত্র বানিয়েছে।
তিনি বলেন, হামলা চালিয়ে গোষ্ঠীটি ১২শ’ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছাড়াও অনান্য যেসব হামাস নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া, মারওয়ান ইসা, সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার উপনেতা খালেদ মাশাল, মোহাম্মদ দেইফ এবং আলী বারাকা।
একে