মঙ্গলবার | ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে কথা হলো ব্রিটিশ হাইকমিশনারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

বুধবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় বেগম জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

সাক্ষাতে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া প্রস্তুত কিনা তা নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কূটনীতিক মহলে সবার ম্যাডামের স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কা ছিল। দেশে একটা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যেখানে কূটনীতিকরাও মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে উনি (খালেদা জিয়া) প্রস্তুত কিনা তা নিয়ে কথা হয়েছে। দেশের নতুন প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য জানিয়েছে তারা কী কী করতে চায় তা ম্যাডামকে অবগত করেছে। দুই দেশের সার্বিক অবস্থা ও সম্পর্ক উন্নততর করতে ম্যাডাম অনুরোধ করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বিদেশে যেতে প্রস্তুতি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যদিও যুক্তরাজ্যেও নেয়া হয় তাহলে ৮ থেকে ১৩ ঘণ্টা ফ্লাইং করতে হবে, আর আমেরিকা যেতে হলে ১৮ থেকে ২১ ঘণ্টার সময় প্রয়োজন। কাজেই এত দীর্ঘ সময়ে ফ্লাইয়ের জন্য শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমরা সার্বিকভাবে ওই সমস্ত দেশের হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব শারীরিক অবস্থা উড্ডয়ন উপযোগী হলেই তিনি যাবেন।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। কিন্তু দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করা হয় ছয় মাসের জন্য। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে পরদিনই বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীপ্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারামুক্তির সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্টও ফিরে পেয়েছেন খালেদা জিয়া। ৬ আগস্টই তার পাসপোর্ট নবায়নের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- Payra Team