বৃহস্পতিবার | ১৫ মে, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিশ্বজুড়ে কলেরায় মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ: ডব্লিউএইচও

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আগের বছর ২০২২ সালের তুলনায় মৃতের এই সংখ্যা শতকরা হিসেবে ৭১ শতাংশ বেশি।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, “সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং বাস্তুচ্যুতির জেরে কলেরায় মৃত্যুহারে এই উল্লম্ফন ঘটেছে। অথচ এই রোগটি নিরাময়যোগ্য এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

কলেরার জন্য দায়ী ভিব্রিও কলেরিয়া নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া, যা পানির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। মূলত দূষিত পানির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়।

২০২৩ সালের কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নিজেদের তথ্য দিয়েছে ৪৫টি রাষ্ট্র। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আফ্রিকার দেশগুলোতে কলেরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা হিসেবে ১২৫ শতাংশ। তবে একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে ৩২ শতাংশ।

ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মৃত্যুহার বেড়েছিল ১৩ শতাংশ, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বেড়েছে ৩৮ শতাংশ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালের তুলনায় ’২৩ সালে বেড়েছে ৭১ শতাংশ।

২০২৩ সালে কঙ্গো, মালাউই, সোমালিয়া, হাইতি, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়েসহ মোট ২২টি দেশে মহামারি আকারে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতির কোন উন্নতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে।

কলেরা প্রতিরোধে টিকা রয়েছে। তবে এটি উৎপাদন করে বিশ্বের একটি মাত্র কোম্পানি। এদিকে টিকার দাম যেমন বেশি, তেমনি জোগানও কম। তাই কলেরা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয় না। টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিকেও এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

আইএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM