নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের ৬টি ক্যাটাগরির ১৬৯টি শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষার ফল গায়েব করে আবার একই নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহীদুল আলম এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার একজন পীর ও সৎ ব্যক্তি হওয়ার সুযোগে নিয়োগ, বদলি ও প্রাক্কলন পাস বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। এক সময়ে অতি আওয়ামী লীগার শহীদুল খোলস পাল্টাতে নানামুখী চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের ৬টি ক্যাটাগরির ১৬৯টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২০ এবং ২৭ মে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলে ১৪ জুন থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে ব্যার্থ হয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। কারণ ওই নিয়োগ পরীক্ষার ফলের একাংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে সফলও হয়। এ নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন বা দায়ীদের খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শুধু শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায় এড়িয়ে গেছে শহীদুল গংরা।
পরবর্তীতে ওই নিয়োগে ‘অফিস সহায়ক’ পদের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি ফল প্রত্যাশী ২৯ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা পুনরায় নিয়ে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ একটি প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন শহীদুল আলম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা সাহার নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ। যাতে আরো কয়েকজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজস রয়েছে।
শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসাদাচরণের অভিযোগ শুরু থেকেই। তাকে অপসারনের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদাররা পূর্ত ভবনে বিক্ষোভও করেছেন। সাম্প্রতি বদলি, পদোন্নতিসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত শহৗদুল আলমের পদোন্নতির বিষয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে নিজ পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে গণপূর্ত অধিদপ্তরে চাকুরি ও পদোন্নতি বঞ্চিতরা গত কয়েক দিন ধরে পূর্ত ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে দৌড়ে পালিয়ে যান শহীদুল আলম। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।