নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, ‘আবারও ওয়ান ইলেভেনের চক্রান্ত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে এখনো কথা বলার সময় আসেনি। এ সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সময় দিয়েছে। তবে জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অতি প্রয়োজনীয়। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন অবস্থান করে রাজনৈতিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না, রাজনৈতিক দলই হচ্ছে দেশের শক্তি। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।’
আজ শনিবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারের চেয়ারম্যান সুপার মার্কেটের সামনে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন জয়নুল আবেদীন ফারুক। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে রংপুরের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। আবু সাঈদের রক্তের গন্ধ এখনো শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র চলছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে, এই সরকার যেন স্থির হতে না পারে, যেন সুন্দর নির্বাচন দিতে না পারে সে জন্যও ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন করে যদি আওয়ামী দুঃশাসনের সুবিধাভোগী কেউ বিএনপির নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তবে সেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার সহযোগিতা করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ড. ইউনুসের সঙ্গে আমাদের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন আছে। তাঁকে আমরা সহযোগিতা করব। আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে আমার দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বাড়িতে থাকতে পারেননি। হামলা-মামলা নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে যত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা হয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা হিন্দুস্তানের বদ্ধ ঘরে স্বেচ্ছায় আবদ্ধ হয়ে আছে, আমরা মুক্ত আকাশে আছি, এ দেশের জনগণ মুক্তির স্বাদ নিচ্ছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করা যাবে না। শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে, সেই পানিতে আমার দেশে বন্যা হয়েছে। আমাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
নিজ নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম ও তাঁর ছেলের সমালোচনা করে ফারুক বলেন, ‘মোর্শেদ আলম, তাঁর ছেলে দিপু আজ কোথায়? তাঁরা বিদেশে পালিয়েছে। সেনবাগ-সোনাইমুড়ীতে তাঁরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কিশোর গ্যাং গড়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আমি সেসব হতে দেব না। এখানে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই।’ এআরএস