নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তন করতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। গুলির ঘটনাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে মৃত্যুসনদ দিতে বলা হয়েছিল।
৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও দায়বদ্ধতা: প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ডা. মোশতাক এসব কথা বলেন। ডা. মোশতাক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশি মামলায় রিমান্ডের শিকার ব্যক্তিদের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তথাপি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। বাকিরা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হয়ে বেঁচে থাকেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক একটি ঘটনা আমি শেয়ার করতে চাই। আজিমপুরে একজন ভদ্রলোক মারা গেছেন গানশট ইনজুরিতে (গুলিতে)। সেটা বলা হইছিল আমাদের, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, এটা ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লেখা যাবে না। লিখতে হবে তিনি এক্সিডেন্টালি (দুর্ঘটনায় মৃত্যু) মারা গেছেন এমন নির্দেশনা কে দিয়েছিল, জানতে চাইলে ডা. মোশতাক বলেন, ‘এটা হসপিটাল অথরিটি (কর্তৃপক্ষ) দিয়েছিল।’