নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্র–জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হট্টগোল, হাতাহাতির এবং বিশৃঙ্খলার কারনে নরসিংদীতে মতবিনিময় সভা স্থগিত করে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছে সারজিস আলমের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের। আর খাগড়াছড়িতে হাসনাত আবদুল্লাহর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাউন হলজুড়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে প্রায় ৪০ মিনিট পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দু’টি স্থানের এই হট্টগোলের খবর জানিয়েছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ মিডিয়া প্রথম আলোর অনলাইনের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর শুরু হয়েছে। এ সফরে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দল প্রতিটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। সোমবার খাগড়াছড়ি টাউন হলে বিকেলে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দুপুর থেকে টাউন হলের সামনে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হন। এ সময় টাউন হলের ভেতর ও বাইরে জড়ো হয়ে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাউন হলজুড়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে প্রায় ৪০ মিনিট পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় নরসিংদীতে যান সারজিস আলমের নেতৃত্বাধীন সমন্বয়কদের দলটি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বাসাইল এলাকার নরসিংদী ক্লাবে তিনটি বৈঠকে মিলিত হন তাঁরা। প্রথম বৈঠক শেষে পরের দুটি বৈঠক চলাকালে নরসিংদী ক্লাবের ভেতরে স্থানীয় সমন্বয়কদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। পূর্বঘোষিত সভাস্থল নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে। সারজিস আলম দুটি ভেন্যু বাদ দিয়ে শহরের পৌর পার্কে সভার আয়োজন করতে বলেন। তাতেও সমাধান না হওয়ায় মতবিনিময় সভা স্থগিত করে বিকেলে প্রতিনিধিদল নিয়ে নরসিংদী ত্যাগ করেন সারজিস আলম।
প্রতিনিধিদলে থাকা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন বলেন, স্থানীয় সমন্বয়কদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্য কোনো দিন নরসিংদীতে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।