আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকার একটি আশ্রয় শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে গাজা অঞ্চলের বেসামরিক জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ। সূত্র: আলজাজিরা
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি অঞ্চলে ২০টির বেশি তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। যদিও খান ইউনিস ও এর নিকটবর্তী রাফা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্থল আক্রমণের সময় উপকূলীয় এই অঞ্চলটিকে একটি “নিরাপদ এলাকা” হিসেবে ঘোষণা করে ইসরায়েল।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, এই তাঁবু শিবিরে প্রায় ৯ মিটার গভীর গর্ত পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পর সেখানে আগুন ধরে যায়। সে সময় তাঁবুর উপর দিয়ে ইসরায়েলি নজরদারি বিমান ঘোরাফেরা করছিল।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রাথমিক মূল্যায়নে ধারণা করা হচ্ছে এই হামলা ‘এই উন্মত্ত যুদ্ধের অন্যতম নৃশংস গণহত্যা’। হামলায় নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করতে অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা কঠিন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, খান ইউনিসের মানবিক অঞ্চলের ভেতরে স্থাপিত একটি কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ হামাস যোদ্ধাদের আঘাত করেছেন তারা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস যোদ্ধারা অগ্রসর হয়ে ইসরায়েলি সেনা ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তবে ইসরায়েলি এই হামলার আগে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করে তেল আবিব। এদের মধ্যে নির্ভুল গোলাবারুদ ব্যবহার, আকাশ থেকে নজরদারি ও অন্যান্য বিষয় রয়েছে।
তবে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের হামলার শিকার এলাকায় উপস্থিত ছিল বলে অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের জঘন্য অপরাধকে ন্যায্যতা দিতে মিথ্যা প্রচার করছে বলেও অভিযোগ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের। এআরএস