পায়রা ডেস্ক: বুধবার (১৪ আগস্ট) ইরানের তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম ডব্লিউএ টুডে। খবরে বলা হয়, ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং কাতার নতুন করে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনার প্রতি সমর্থন জানায়। এদিকে, ৯ আগস্ট (শুক্রবার) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা আশা করি, যথাসময়ে আমরা হামাস নেতার হত্যার উত্তর দেবো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং কাতার নতুন করে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। ১৫ আগস্ট তারা এজন্য বৈঠকের আহবান জানিয়েছে। মিশর অথবা কাতারে এই যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এসময় এ দেশগুলোর নেতারা বলেন, এখনই যুদ্ধ শেষ হতে হবে এবং সেইসঙ্গে হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া দুর্গত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা ১০ মাসব্যাপী ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের অবসানেরও দাবি জানান।
সেইসঙ্গে ইসরায়েল এবং হামাসের কাছে আটক বন্দি বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন তারা। এছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি ১২ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের ধারণা অনুযায়ী এই সপ্তাহেই ইরান এবং এর সমর্থক গোষ্ঠীগুলো কিছু একটা ঘটাতে পারে।
তবে গাজা উপত্যকাভিত্তিক হামাস সংগঠন জানিয়েছে, নতুন করে আর গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার দরকার নেই। মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ভিত্তিতেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হোক।