নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের নেতাসহ ২ জন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৫টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়র হোসেন মিন্টুর ছেলে শ্রাবণ (২২)। তিনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শ্রাবণ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় গৌরীপুর মহল্লার মিজানকে প্রতিপক্ষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ ভোরে তিনিও মারা যান। এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমএফ