আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মান সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশ কমাতে স্থলসীমান্তে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জার্মানির জোট সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না- এমন অভিযোগ উঠেছে। চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সেই লক্ষ্যে কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করলেও সমালোচকদের মতে, বাস্তবে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সরকার অবশ্য পরিসংখ্যান দেখিয়ে দাবি করছে যে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই অভিবাসন ২১ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
কিন্তু জোলিঙেন শহরে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীর ছুরি হামলা চালানোর ঘটনা এবং তার ঠিক পর পূর্বের দুই রাজ্যে চরম দক্ষিণপন্থি এএফ়ডি দলের অভাবনীয় সাফল্যের পর শলৎসের সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রথমে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত একদল অবৈধ শরণার্থীকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে; এবার জার্মানির সব স্থলসীমান্তে আরো কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করার ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার।
সোমবার জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে আপাতত ছয় মাসের জন্য জার্মানির স্থলসীমান্তে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মুক্ত সীমানার শেঙেন এলাকার সদস্য হওয়া সত্ত্বেও জার্মানি এমন পদক্ষেপ নেবে৷ ফেসার বলেন, বিশেষ এক উদ্যোগের আওতায় কর্তৃপক্ষ সরাসরি সীমান্তেই আরো বেশি শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা পাবে। তবে সেই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
ফেজার বলেন, ইউরোপীয় কমিশন এবং প্রতিবেশী দেশগুলিকে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং সীমান্তে অপরাধমূলক সংগঠনগুলোকেও দমন করতে চায় সরকার।
এআরএস