আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গেছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই সফরে বাংলাদেশের প্রঙ্গস নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য ‘উগ্রবাদের’ উত্থান নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শিগগির স্থিতিশীল হবে এবং ভারত বর্তমান সরকার এবং পরবর্তী অন্যান্য সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম হবে।
এসময় তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক নয়, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত।
এ ছাড়া বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদ’ উত্থানের হুমকি ভারতের জন্য উদ্বেগের বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাহুল ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদের প্রবাহ বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করা, ইসরাইল ইস্যু ও বাংলাদেশে চরমপন্থী উপাদানসহ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ।
বাংলাদেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে চরমপন্থী উপাদান নিয়ে ভারতে উদ্বেগ আছে এবং (বিজেপি সরকারের মতো) আমরাও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরে অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধান বিরোধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। সফরে তিনি ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি মার্কিন আইনপ্রণেতা, ব্যবসায়ী ও একাডেমিশিয়ানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে এক ইদিন রাহুল গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে একদল মার্কিন আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাহুল গান্ধী বলেন, বৈঠকে আমরা এটা (বাংলাদেশ ইস্যু) উত্থাপন করেছি এবং তারা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। এমএফ