রবিবার | ১৬ মার্চ, ২০২৫ | ২ চৈত্র, ১৪৩১

আন্দোলনে নিহত ফেনীর ৪ ছাত্রের লাশ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর মহিপালে দাফনের ৩৭ দিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত চার শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তারা হলেন ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সাইদুর রহমান সাইদ, জাকির হোসেন শাকিল ও মো. সবুজ।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের কালীরহাট গ্রাম থেকে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের ও দুপুর ১২টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী এলাকা থেকে সাইদুল ইসলাম সাঈদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদের মরদেহ উত্তোলন কালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. আলামিন উপস্থিত ছিলেন। নিহত সাইদ ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গত ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত শ্রাবণ ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের নেছার আহমেদের একমাত্র ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ফেনীর মহিপালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত জাকির হোসেন শাকিল ও মো. সবুজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ৩৬ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফেনীর সোনাগাজী ও লক্ষ্মীপুর থেকে তাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সোনাগাজী উপজেলার মান্দারী গ্রাম থেকে শাকিলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের এসআই এম. ইরফান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুর ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজী এলাকা থেকে মহিপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত অটোরিকশাচালক মো. সবুজের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় রামগতি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আবদুল্লাহ-বিন-শফিক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কমল কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালত ময়নাতদন্তের জন্য সবুজের মরদেহ উত্তোলনের আদেশে দিয়েছিলেন। এমএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM