নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৬ ও ২০২২ সালে তিনি আবারও নাসিক সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।
অভিযোগ উঠেছে, আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজি, অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নিজ নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ৪-৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আইভীর গাড়িচালকের নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বর কল এবং পানির কল এলাকায়ও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও অভিযোগ উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন আইভীর দুই ভাই আলী রেজী রিপন এবং আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঐতিহ্যবাহী চিত্ত বিনোদন ক্লাব ভেঙে মার্কেট নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণসহ আইভীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও পেয়েছে দুদক।