নোয়াখালী প্রতিনিধি: অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে দুইদিন থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ।
গতকাল বুধবার থেকে কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারছে না এবং ভেতর থেকে কেউ বের হতে পারছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জানা যায়, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এরপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়ায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। তাঁরা কালক্ষেপণ করছেন, পদত্যাগ করছেন না। প্রয়োজনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব। পদত্যাগ ছাড়া তাঁদের কোনো পথ নেই।’
আন্দোলকারী আরেক শিক্ষার্থী আতিক বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তবে তাঁদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষের বক্তব্যের জন্য তাঁদের কাউকে ক্যাম্পাসে বা ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের ভালো চেয়েছি। তাঁদের এবং কলেজের অমঙ্গল হয় এমন কোনো কাজ কখনো করিনি, সামনেও করব না।’
আরএস