নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এই পরিমাণ রেকর্ড করা হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। এই বৃষ্টি আরও দুইদিন থাকতে পারে।
এদিকে অতিবৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও পানি প্রবেশ করে জেলার বেশ কিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রাম এবং উখিয়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ ডিককুল এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম এবং ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ এবং আবদুল ওয়াহেদ।
ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে ৩টার দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পায় তারা। পরে তারা গিয়ে দেখেন স্ব-পরিবারে মাটিচাপা পড়েছে মিজানুরের পরিবার। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানুরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে ভোর রাতের দিকে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ঝিকু জানান, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ওপর থেকে পাহাড় ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
একে