নিজস্ব প্রতিবেদক: নগদে আইন বহির্ভূতভাবে প্রশাসক নিয়োগ করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এ প্রশাসক ও সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। গত ২১ আগস্ট রাতে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে নগদের ডিরেক্টর জেনারেল সাফায়েত আলমের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির।
২০১৭ সালে ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠানিভাবে যাত্রা করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় তদানন্তীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় নগদের।
গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগের ঘোষণা দেয়। পরদিন ভোরের আগেই নগদের অফিসে পুলিশ চলে আসে এবং কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিয়ে প্রশাসকের দখল বুঝে নেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ‘কাউকে ছাঁটাই করা হবে না’ বলে ঘোষণা দিলেও এরইমধ্যে নগদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে পদত্যাগেও বাধ্য করা হয়েছে। এমএফ