বিভাগীয় প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি ও বালুমহাল দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পাওয়ার প্রথম দিনেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটকের পর মারা গেছেন তিনি। তিনি নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আবদুস ছালামের ছেলে। মঙ্গলবার এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
স্বজন ও দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের গোলপুকুর পাড় এলাকায় সাইদুল ইসলামের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাত একটার দিকে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, সাইদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনেছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। হাসপাতালের আরেকটি সূত্র জানায়, শুধু সাইদুল ইসলাম নন, একই সঙ্গে আরও পাঁচজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজ সাইদুলের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা তিনটার পর পরিবারের কাছে সাইদুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়। সাইদুলের মৃত্যুর বিষয়ে স্বজনদের কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক (টুটু) বলেন, ‘গতকাল রাতে ধরে নিয়ে যায় বলে শুনেছি। সকালে মৃত্যুর খবর পাই। পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আগে থেকে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন সাইদুল।’ তাঁর মৃত্যু নিয়ে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিলেন সাইদুল ইসলাম। পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে কি না, তা তিনি বলতে চাননি। সুরতহাল প্রতিবেদন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করেছেন।