আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে করেছেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর কেন্দ্রীয় মেছুয়া বাজারের বিভিন্ন দোকান ও কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলো মনিটরিং করেন।
নগরীর মেছুয়া বাজারে দেখা যায়, কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে প্রদর্শিত মূল্যতালিকা চেক করেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় বাজারের সব খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সতর্ক করে বলেন, ভেজাল ও ক্যামিক্যাল ব্যবহার পরিহার করতে হবে। হঠাৎ করে অযথা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন বিক্রেতারা। চিনি স্টক করে রাখা, মাছ ও মুরগির ওজনে কারচুপি, বাজারে চাঁদাবাজি এবং রাস্তার ওপর দোকানপাটসহ সব কিছুতেই পর্যবেক্ষণ করেন এসিল্যান্ড আসাদুজ্জামান রনি।
এ বিষয়ে সদরের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। আড়তে, পাইকারি-খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন থেকে সীমিত মুনাফায় পণ্য বিক্রি করবেন।
তিনি আরও বলেন, মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেট মোকাবিলায় আমরা সদা তৎপর। এজন্য বাজারের ক্রেতাদের এ বিষয়ে সচেতনতার পরামর্শ দেয়া হয়। আমরা তাদের বলেছি কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে যেন আমাদের জানায়। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর ভূমি অফিসের নায়েব সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির ফারুক হোসেন, মো. ফকরুল হাসান প্রমুখ।
এমএফ