মঙ্গলবার | ১৩ মে, ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

ভাইভা না দিয়েও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি!

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৬ হাজার ৫৩১ জনকে উত্তীর্ণ করে এ ফল প্রকাশের পর থেকেই একে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন প্রার্থীদের একাশং। তাদের অভিযোগ, চারটি সেটের পরীক্ষা হলেও সবগুলোর যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কারণে আসন বৃদ্ধি করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।
এদিকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি, এমন একাধিক প্রার্থী তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত এই ফলে নাম এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদপড়া প্রার্থীরা দাবি করেন, এ ধাপের সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলায়। টাঙ্গাইল জেলার ফলাফলে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলে টাঙ্গাইল জেলা থেকে ৫৯৭ জনকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এরমধ্যে একাধিক উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছে, যারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। এরমধ্যে ২৩১০২১২, ২৩১০২৬৬, ২৩১০৬৪১, ২৩১১১৮৪ নাম্বারধারী উল্লেখযোগ্য।

ভাইভা অংশ নেওয়া ও চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণরা
এর আগে গত ৯ মে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ইন্টারভিউ বোর্ড-১ এ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এতে ২৩১০২১২, ২৩১০২৬৬, ২৩১০৬৪১, ২৩১১১৮৪ নাম্বারধারীরা অংশগ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে। তবে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও এসব প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ দেখানো হয়।
নিয়মানুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে হয়, এরপর চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তবে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলে একাধিক প্রার্থী পাওয়া গেল, যারা মৌখিক পরীক্ষার উত্তীর্ণও হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বাদপড়া প্রার্থীরা ক্ষোভ জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনেও নেমেছেন। তারা এই ফল ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে পুনরায় প্রকাশের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। আজ রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরস্থ অধিদপ্তরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে আজ বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এসময় তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মো. লুৎফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মো. লুৎফুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM