সোমবার | ১৯ মে, ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘স্বেচ্ছায় চলে গেলেন সাদিয়া, রুনাকে বিয়ে করলেন শাহিন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। তাদের মধ্যে রুনা নামের একজনকে দুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করলেন শাহীন। এর আগে দুজনকে বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন শাহীন।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহীনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শাহীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। আর রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল থেকে এক কলেজশিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। কলেজ শিক্ষার্থীর দাবি, শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এ বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু সে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর কলেজশিক্ষার্থীর অনুমতি ছাড়া অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।

অন্যদিকে গত দুই মাস থেকে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর ওই তরুণীও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

শাহীনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে বিয়ের দাবিতে এই মেয়ে শাহিনের বাড়িতে আসে। পরে আরেক মেয়ে এলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এখন সব সমস্যার সমাধান করে প্রথমে যে মেয়েটি এসেছিল, তার (রুনা) সঙ্গে শাহীনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শাহীন বলেন, প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় তখন রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টায় রুনাকে বিয়ে করি।

রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে ওই মেয়ে এলে সমস্যা দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়েতে আর কোনো বাধা থাকে না। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাটি বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, রাতেই একজনকে শাহীন বিয়ে করেছে। পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় আরেক তরুণী বাড়ি ফিরে গেছে।

এমএফ

© 2024 payranews.com | About us | Privacy Policy | Terms & Condidtion
Developed by- SHUMANBD.COM