নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পল্টনস্থ মহানগরী কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত থানা আমির ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘বিগত ১৫ বছরের বঞ্চনা ও হাহাকার ১৫ দিনে সমাধান করা সম্ভব নয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এটার মেরামত করতে অনেক সময় লাগবে। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে।’
কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকায় জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সৃষ্ট বন্যায় দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্যা কবলিত এলাকায় আমাদের সকলে মিলে কাজ করতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ ও দুর্ভোগে জামায়াতে ইসলামী সবার আগে ছুটে যায়। তাই জামায়াতের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণও এখন জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকতে চায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র-জনতার দুর্বার গণ-আন্দোলনে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যারা হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘যাদের রক্তের ওপরে আজকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই ছাত্র জনতার এই অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। আহতদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এই সকল শহীদদের পরিবার, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জামায়াতে ইসলামী নিজ সামর্থ্যের আলোকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে, ইনশাআল্লাহ।’
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এআরএস