রবিবার | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে একজনের ভাগে পড়ে ১৩৫ ডিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস: ডিমকে বলা হয় পরিপূর্ণ খাদ্য। বিশ্বে যে কয়টি খাদ্যকে সুপার-ফুড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় ডিম সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। অব্যাহত উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গত বছর ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা বেড়ে মাথাপিছু ১৩৬টি থাকলেও এ বছর একটি কমে ১৩৫টিতে নেমেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪ দশমিক ২৪ কোটি পিস। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার সংখ্যা ছিল ১২১টির বেশি। বর্তমানে দেশে ডিমের বার্ষিক চাহিদা এক হাজার ৮০৬ কোটি পিস, এর বিপরীতে উৎপাদনের সংখ্যা দুই হাজার ৩৩৭ কোটি পিস। এ হিসাবে জনপ্রতি বার্ষিক ডিমের প্রাপ্যতা দাঁড়িয়েছে ১৩৫টি।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পুষ্টিমান অনুসারে, সুস্থ থাকতে প্রতিটি মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। তবে এর বেশি খেলেও ক্ষতি নেই বলে জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।

২০১৭-১৮ সালে ডিমের উৎপাদন ছিল ১৫৫২ কোটি, ২০১৮-১৯ সালে ডিমের উৎপাদন ছিল ১৭১১ কোটি, ২০১৯-২০ সালে ডিমের উৎপাদন ছিল ১৭৩৬ কোটি এবং ২০২০-২১ সালে ডিমের উৎপাদন ছিল ২০৫৭ দশমিক ৬৪ কোটি। সরকারি এ পরিসংখ্যানে ডিম বলতে পোল্ট্রি ডিম, দেশি মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম, কোয়েল ও কবুতরের ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে এ খাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। করোনা মহামারির পর থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও ব্যাহত হচ্ছে। তবে এখন ধীরে ধীরে সে সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। আগামী বছর নাগাদ মাথাপিছু ডিমের প্রাপ্যতা বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

© 2022 payranews.com
Developed by- Payra Team