নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস:যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ফিরে গিয়ে নির্বাচন নিয়ে অর্থবহ সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে।
একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে অর্থবহ সংলাপ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে মার্কিন ওই প্রতিনিধ দল।
বাংলাদেশ সফর করে ওয়াশিংটনে ফিরে যাওয়ার পর রবিবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিনিধি দলটি।
তাদের অন্য সুপারিশগুলো হলো- বাক স্বাধীনতার সুরক্ষা ও ভিন্নমতকে সম্মান করা হয় নাগরিকদের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করা, স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনাসহ এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে সব দল একটি অর্থবহ নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সামিল হতে পারে এবং নাগরিকদের মধ্যে সক্রিয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা।
“বাংলাদেশ একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে এবং আসন্ন নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি লিটমাস টেস্ট,” উল্লেখ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
সেখানে বলা হয়েছে, এসব সুপারিশ একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে, যা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমুলক নির্বাচন অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের পটভূমিতে প্রাক-নির্বাচনী দলের ঢাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে এসব সুপারিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে সুপারিশগুলো কখন বাস্তবায়ন করতে হবে এবং না করলে কী হবে সে সম্পর্কে কিছু ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি।
ঢাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি-উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশমালাকে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে বিএনপি বলেছে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিদায় করে নির্দলীয় সরকার জরুরি।
আর আওয়ামী লীগ বলেছে মার্কিন দলের সুপারিশগুলো চমৎকার এবং দলটি মনে করে ‘যারা সহিংসতা করে নির্বাচনকে ঠেকাতে’ চায় তাদের জন্য এটি একটি কড়া বার্তা।
একজন নির্বাচন বিশ্লেষক বলছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সুপারিশে নির্বাচন নিয়ে সংলাপ- সমঝোতা এবং নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ভাবে কাজ করার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর নির্বাচন পূর্ব-পরিবেশ পর্যালোচনা করতে আসা মার্কিন এ দলটির প্রতিবেদনকে আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।